ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

স্ত্রীর ৪ প্রেমিক! অতিষ্ঠ হয়ে আদালতে গেলেন স্বামী

শাহীন মাহমুদ রাসেল, কক্সবাজার ::  জীবনের ঊনষাট বছর বয়স পেরিয়ে এসে বিয়ে করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মো. আসলাম। নিজ বাড়ি বরিশাল ছেড়ে কক্সবাজারের পেকুয়ায় এসে মৃত আবুল হাশেমের কন্যা ফাতেমা বেগমকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলেছিলেন। দাম্পত্য জীবনের বছর ঘুরতেই দেখা দিলো বিপত্তি।

একজন বা দুজন নয়, চার-চারজন প্রেমিক নিয়ে ঘুরে বেড়ান সেই স্ত্রী। একারণে লেগে থাকে কলহ, অশান্তি। আর স্ত্রীকে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতে বললেই স্বামীর উপর নেমে আসে অবর্ণনীয় নির্যাতন। ধর্মীয় ও সামাজিক নৈতিকতায় যাদের সাথে সম্পর্ক অবৈধ হিসেবে গন্য করা হয় সে ধরণের ভাই পরিচয়ের লোকজন দিয়ে হামলাও করেছে।

এসব অভিযোগ মেয়েটির স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট মো. আসলামের। শুধু তাই নয়- স্ত্রীর লাম্পট্য জীবনযাপনে অতিষ্ট হয়ে শেষমেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিরুপায় হয়ে ঠুকে দিয়েছেন মামলা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টায় ফাতেমা (২২) তার ৪ প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী আসলামের উপর হামলা করে। আসলাম তার স্ত্রী ফাতেমাকে বাপের বাড়ি থেকে আনতে গেলে পরিকল্পিতভাবে এঘটনা ঘটায় ইন্ধনদাতারা। হামলাকারী ৪ প্রেমিক পুরুষ হলেন- স্থানীয় চা দোকানদার হানিফ বাদশা (৪০), এনজিও ব্র্যাকের স্থানীয় অফিসের হিসাব রক্ষক সঞ্জয় (৩৯), চকরিয়া কোনাকাটা এলাকার নাজু (৩০), ইদগাঁওর জাহিদ (৩৫)।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখিত ৪জনকেই স্ত্রী ফাতেমার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আটক করেছিলো বলে দাবী করেছে স্বামী আসলাম। এই চার জনের ইন্ধনেই ফাতেমা তার স্বামী আসলামের উপর চড়াও হয়েছে, মালামাল লুট করেছে এবং হামলা করেছে বলে অভিযোগে জানা যায়।

আসলাম কর্তৃক তার স্ত্রী ফাতেমার আরও ৪জন প্রেমিক থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফাতেমা বিষয়টি জবাব না দিয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান। উল্টো অভিযোগ করে বলেন- আসলাম মানসিক রোগী। সে তেমন একটা সংসারী পুরুষ নয়। তাকে উপার্জনের জন্য সময় ব্যয় করতে দেয় না। একারণেই মূলত কলহ লেগে থাকে।

এছাড়াও অভিযুক্ত ফাতেমা বেগম আসলামকে বছর খানেক পূর্বে বিয়ে করেছিলেন বলেও স্বীকার করেন। এবিষয়ে তিনি পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মিনু বরবার একটি অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানা যায়।

এবিষয়ে পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান- বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। শীঘ্রই উভয় পক্ষকে ডেকে একটি ফায়সালা করে দেওয়া হবে।

এদিকে স্ত্রীর নির্যাতনে অতিষ্ট আসলাম আরও জানান- তিনি থানা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না। আসলামের দাবীর সত্যতা জানতে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাইখা ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল আজম জানান- আসলাম তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ করেছে। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে। খোঁজ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন যথাশীঘ্রই প্রেরণ করা হবে।

পাঠকের মতামত: